
বিদ্যাসাগর
Audio File:
Please Visit & Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita
আজ বাংলা সাহিত্যের জনক বিদ্যাসাগরের জন্মদিন। ভারতবর্ষের শিক্ষার প্রসারে বিদ্যাসাগরের অবদান অনস্বীকার্ষ। তিনি সবসময় মানুষের পরোপকার করতেন, তাই তাকে মানুষ ʼদয়ার সাগরʼ বলে ডাকতো।
গোঁড়া ব্রাহ্মণ পরিবারে তিনি জন্মেছিলেন।কিন্তু সামাজিক গোঁড়ামি এবং বিভিন্ন কুসংস্কার ছেড়ে তিনি আজীবন সামাজিক কুপ্রথা যেমন বিধবা বিবাহ, মেয়েদের পড়াশুনা শেখানো ইত্যাদি ব্যাপারে চিরদিন সামাজিক প্রথা ভেঙ্গে সেইসব কাজে ব্রতী হয়েছিলেন।
তিনি সংস্কৃত অনুরাগী ছিলেন। সংস্কৃত অধ্যাপনা ছাড়াও বেশ কিছুদিন তিনি কোলকাতা বিশ্ব বিদ্যালয়ের সংস্কৃত কলেজে প্রিন্সিপ্যাল ছিলেন। বম্কিমচন্দ্রের মতে, বিদ্যাসাগর মহাশয় সংস্কৃত অনুরাগী হওয়া সত্তেও তার বাংলা ভাষা অতি সুমধুর ও মনোহর ছিল। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর থাঁর সমন্ধে বলেছেন, যারা অতীতের জড় বাধা লঙ্ঘন করে দেশকে ভবিষতের পরম সার্থকতার দিকে বহন করে নিয়ে যায়, সারথি সরূপ বিদ্যাসাগর মহাশয় সেই মহারথীগনের একজন অগ্রগন্য ছিলেন। আমার মনে এই সত্যটিই সবচেয়ে বড় হয়ে লেগেছে।
তিনি বাংলা ভাষা শেখার প্রথম ধাপটি বর্ণপরিচয় লিখে সৃষ্টি করেছেন। যুক্তবর্ণ, বাংলা ব্যাকরণের প্রথম পাঠটিও এই বইটিতে লিখেছেন।
এছাড়া ছোটদের কাছে ভাল এবং খারাপ মানুষ বোঝার জন্য কয়েকটি ছোট ছোট গল্পও বর্ণপরিচয়ে লিপিবদ্ধ করেছেন।
মানুষ হিসাবে বাইরে থেকে এক কঠিন মানুষ ছিলেন. কিন্তু অন্তরে তিনি ছিলেন এক কোমল হৃদয়ের মানুষ। অপরের দুঃখ তাকে বিচলিত করতো। তাইতো কারো দুঃখ দেখলে তিনি তা দূর করতে চেষ্টা করে গেছেন আমরন।
তিনি খুব মাতৃভক্ত ছিলেন। একবার মা তাকে গ্রামের বাড়ীতে আসতে বলেন। কিন্তু সেদিন ছুটি না পাওয়ায় চাকরিতে ইস্থাপা দিয়েই মায়ের কাছে যাত্রা করেন। সেটা ছিল বর্ষাকান। দামোদর নদী পেরিয়ে যেতে হতো গ্রামের বাড়ী।বর্ষার জলে তখন দামোদর নদী ফুঁসছে। পারাপারের কোনও নৌকাও ছিল না। তিনি সাঁতার কেটে সেদিন নদী পেরিয়ে মায়ের কাছে পৌঁছেছিলেন।
বিদ্যাসাগর মহাশয়ের চেহাড়া অপেক্ষায় মাথাটি একটু বড় ছিল, তাই ছোটবেলায় অনেকে যশুরে কই মাছের মতো ʼকশুরে জইʼ বলে ডাকতো।
তিনি কুসংস্কারাচ্চন্ন সমাজের অনেক কুস্ংস্কার মুক্ত করেছেন। সতীদাহ প্রথা, বিধবা বিবাহ ইত্যাদি। বিধবা বিবাহ প্রতিষ্ঠা করতে তিনি নিজের ছেলের সঙ্গে এক বালবিধবা কন্যার বিয়ে দেন।
বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে তিনি অনেক অবদান রেখে গেছেন।
বি: দ্র: – এটি স্বাক্ষরতা প্রকাশনের বিদ্যাসাগর রচনা সংগ্রহ থেকে অনুসৃত।

