ইচ্ছাপূর্তি – তৃতীয় পর্ব
Please Visit & Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita
( এই কবিতাটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছোটগল্প ইচ্ছাপূরণ অবলম্বনে রচিত )
সুশীল গাছ থেকে পড়ে মাজায়
খুব ব্যথা হয়ে গেছে, পিঠেও ধরেছে টান ।
দাওয়ায় মাদুরে বসে সে চাকরকে হুকুম করলো,
ʼবাজার থেকে একশো টাকার লজেন্চুস কিনে আনʼ।
একশো টাকায় একরাশ লজেন্চুস পেয়ে
কয়েকটি দন্তহীন মুখে পুরলো ।
বাকীগুলো ভাবলো ছেলেকে দেবার কথা
কিন্তু এতে শরীর খারাপ হতে পারে, পরে মনে হলো ।
সুবলচন্দ্র আগে ভাবছিল ছোটবেলা ফিরে পেলে
সে দিনরাত করবে পড়াশুনা ।
কিন্তু নতুন ছেলেবেলা পেয়ে
সে আর স্কুলমুখো হতে চায় না ।
সুশীল রাগ করে এসে বলে,
ʼবাবা স্কুলে যাবে না ʼ ?
সুবল মাথা চুলকিয়ে বলে,
ʼপেট কামড়াচ্ছে, স্কুলে যেতে পারব নাʼ।
সুশীল চেঁচিয়ে বলে, ʼপারবে না বৈকিʼ,
এমন অনেক পেট ব্যথা আমার হয়েছে , আমি সব জানি ।
সুবল কাঁচুমাঁচু হয়ে তাকিয়ে থাকে,
মনে মনে ভাবে এ কথাগুলো আমি মানি ।
সুশীল এতরকম ভাবে স্কুল থেকে পালাত
তা তার সব মনে মনে ভাবলো ।
তাই বাবাকে রোজ স্কুলে পাঠাতে শুরু করলো
আর স্কুল থেকে পালানোর রাস্তা সব বন্ধ করলো ।
সুশীলের বড়ই কড়াকড়ি ছিল
খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে ।
কারন সে যখন ছোটো ছিল, তার প্রায়ই
অম্বল হতো উল্টোপাল্টা খাবারে ।
তাই সুশীল বাবাকে কম খেতে দিত
যেন তার অম্বল না হয় ।
কিন্তু ছোটবয়সি বাবার
সেই খাবার তাড়াতাড়ি হজম হয়ে যায় ।
এতে ছোটবয়সি সুবলচন্দ্র রোগা হয়ে
তার হাড় জিবজিরে চেহাড়া হয়ে গেল ।
সুশীল শক্ত অসুখ করেছে ভেবে
গাদাগাদা অসুধ খাওয়াতে শুরু করলো ।