-
বিদ্যাসাগরের সৃষ্টি
Audio File: Please Visit & Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita জ্ঞানের সাগর বিদ্যাসাগর নামেই তুমি সাগর। কঠোর মানুষ, কোমল হৃদয়, সবাই বলে দয়ার সাগর। বাংলা ভাষার পথিকৃত তুমি বর্ণপরিচয়ের সৃষ্টা। শিশু শেখে যুক্তাক্ষর আর ভাল মানুষ হবার প্রচেষ্টা। গ্রীস দেশের জেমস্ ঈসপের লেখা বিখ্যাত গল্পমালা। অনুবাদ করেন গর্ডন ইয়ংয়ের আগ্রহে রচিত হয় কখামালা। ছোট ছোট আটষট্টিটি গল্প এতে যা মনোগ্রাহী হয় শিশু মনে। নিতিগর্ভ এ গল্পগুলি পাঠে সুবিধা হয় চরিত্র গঠনে। বিখ্যাত বিদেশী মহনুভবদের কথা আছে চরিতাবলী ও জীবনচরিতে। সাহিত্য, বিজ্ঞান ও বিভিন্ন আবিস্কারের কথা জানা যায় এই দুই পুস্তক দুটিতে। শিশুমনের বিভিন্ন প্রশ্ন যেমন পদার্থ, ঈশ্বর, …
-
বিদ্যাসাগর
Audio File: Please Visit & Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita আজ বাংলা সাহিত্যের জনক বিদ্যাসাগরের জন্মদিন। ভারতবর্ষের শিক্ষার প্রসারে বিদ্যাসাগরের অবদান অনস্বীকার্ষ। তিনি সবসময় মানুষের পরোপকার করতেন, তাই তাকে মানুষ ʼদয়ার সাগরʼ বলে ডাকতো। গোঁড়া ব্রাহ্মণ পরিবারে তিনি জন্মেছিলেন।কিন্তু সামাজিক গোঁড়ামি এবং বিভিন্ন কুসংস্কার ছেড়ে তিনি আজীবন সামাজিক কুপ্রথা যেমন বিধবা বিবাহ, মেয়েদের পড়াশুনা শেখানো ইত্যাদি ব্যাপারে চিরদিন সামাজিক প্রথা ভেঙ্গে সেইসব কাজে ব্রতী হয়েছিলেন। তিনি সংস্কৃত অনুরাগী ছিলেন। সংস্কৃত অধ্যাপনা ছাড়াও বেশ কিছুদিন তিনি কোলকাতা বিশ্ব বিদ্যালয়ের সংস্কৃত কলেজে প্রিন্সিপ্যাল ছিলেন। বম্কিমচন্দ্রের মতে, বিদ্যাসাগর মহাশয় সংস্কৃত অনুরাগী হওয়া সত্তেও তার বাংলা ভাষা অতি সুমধুর ও মনোহর ছিল। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর থাঁর সমন্ধে বলেছেন, যারা অতীতের জড় বাধা…
-
গণেশজীর অবয়ব
Audio File: Please Visit & Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita গণেশজীর দেহের অঙ্গ প্রত্যঙ্গগুলির বিভিন্ন তাৎপর্য্য আছে । সেইগুলিই বর্ণনা করার চেষ্টা করা হয়েছে এই কবিতায় । ওম্ গণেশায় নমঃ । ওম্ গণেশায় নমঃ । ওম্ গণেশায় নমঃ । গণেশজীর দেহের অঙ্গ প্রত্যঙ্গগুলি, আছে তাদের বিশেষ মানে আছে বিশেষ গুণাবলী । শুরু করি গণেশজীর বিশাল ভুঁড়িটি নিয়ে । ব্রহ্মান্ড যে দর্শন হয় এটির মধ্যে দিয়ে । তিনি যে ভাল এবং খারাপ সব কিছু খেয়ে । হজম করেন সবই ওই ভুঁড়িটির মধ্যে দিয়ে । দুই দাঁত তাঁর প্রতীক হয় ঠিক আর ভুলের । অন্যভাবে বলতে গেলে হয় তারা আবেগ ও বাস্তবের…
-
ইচ্ছাপূর্তি – চতুর্থ পর্ব
( এই কবিতাটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছোটগল্প ইচ্ছাপূরণ অবলম্বনে রচিত ) Audio File: Please Visit & Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita এদিকে সুশীল আগে যাত্রাগানের পালায় বাড়ী থেকে পালিয়ে পৌঁছে যেত । সে বৃষ্টি হোক, কিম্বা রাত্রে হিম পরুক সে যাত্রা দেখে বাড়ী ফিরে আসত । কিন্তু আজকের বুড়ো সুশীল সেই কাজ করতে গিয়ে কখনও বা সর্দিকাশি নিয়ে বাড়ী ফিরছে । আবার কখনও গায়ে মাথায় শরীর খারাপ নিয়ে তিন সপ্তাহ শয্যাশায়ী হয়ে পরছে । সুশীলের পুরানো অভ্যাস মতো পুকুরে চান করতে গেল । এতে পায়ের গাঁট ফুলে বিষম বাতের অসুখ ধরলো । সুবলচন্দ্রও কখনও ভুলে গিয়ে বুড়োদের সঙ্গে তাস খেলতে চলে গেল…