রবীন্দ্রনাথের অঙ্ক শেখা
Audio File:
Please Visit & Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita
নোবেল জয়ী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের
বয়েস তখন ষাট পেরিয়েছে ।
অঙ্ক শেখার আগ্রহ তাঁর
আদ্দেক বয়েসের এক যুবকের কাছে ।
চুপিচুপি কবি অঙ্ক শিখছেন
শেখাচ্ছেন ছাপোষা এক অঙ্ক শিক্ষক মন দিয়ে ।
গণিতশাস্ত্র গুলে খাওয়া মানুষটি
কবির আগ্রহ দেখে, শেখাতে ব্যস্ত তাঁকে নিয়ে ।
কবির ইচ্ছা ছিল
ডুব দিতে অঙ্কের মহাসাগরে ।
পরে তিনি বোঝেন, জটিল এই অন্তর্জাল
তার পছন্দের বাইরে ।
কবির কথায়, সায়েন্স না পড়ার জন্য
তাঁর গভীর দুঃখ ছিল ।
বিশেষতঃ অঙ্কের ওপর
কবির প্রবল অনুরাগ ছিল।
পড়াশুনা শেষ করতে
সেই যুবক পরে যান বিলেতে ।
তারপরে আসেন শান্তিনিকেতনে
ম্যাথ টিচারের চাকরিতে।
এ জন্য যুবকের মামা বিখ্যাত চিকিৎসক
ডঃ নীলরতন সরকার সুপারিশ করেন কবিকে ।
ডক্টর সরকারের ইচ্ছামতো
যুবক শান্তিনিকেতনে আসেন অঙ্ক শেখাতে ।
সেই সময়ে জালিয়ানওয়ালাবাগের গনহত্যা
কবির মনে সৃস্টি হয় গভীর ক্ষত ।
তাই কবি তাঁর লেখা ছেড়ে
হয়ে পরেন এক পাগলের মতো ।
প্রতিবাদী কবি ইংরেজের নাইট উপাধি
পরিত্যাগ করেন ইংরেজদের ওই কাজে ।
তখন তিনি পাঁচ মিনিটও বসে
মনোসংযোগ করতে পারেন না তাঁর লেখনিতে ।
অঙ্ক স্যার এগিয়ে এসে কবিকে বলেন
আপনি বলুন, আমি সব লিখব ।
এভাবে কাজ করে
লিপিকা কাব্যগ্রন্হটি হয় প্রকাশিত ।
মুদ্রিত লিপিকা দেখে কবি বলেন
অঙ্ক স্যার যতটা বিজ্ঞান সাধক, ততটাই উনি সাহিত্যিক ।
সেই অঙ্ক স্যারটি আর কেউ নন, শ্রী প্রশান্তচন্দ্র মহলনাবিশ
ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিসটিক্যাল ইস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা ও বৈজ্ঞানিক ।