
|| ফলের আশা ||
Please Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita
Faler Aasha
মহাভারতে অর্জুনকে শ্রীকৃষ্ণের উপদেশ –
ফলের কোনোও অধিকার তোমার নেই
তোমার অধিকার কর্মে – তুমি সেটি করে যাও।
ফলটি দেবার অধিকার যাঁর, তিনিই দেবেন
তুমি সময় হʼলে ফলটি পাও।
মানুষ সব সময়ই ফলের জন্য ভাবে এবং
মনটা ভারাক্রান্ত করে।
কবে তার কাজের ফলটি পাবে
সেটা ভেবেই সে মাথা খোঁড়ে।
জন্ম, মৃত্যু ও বিবাহ –
এ সবগুলোই মানুষের হাতের বাইরে।
মানুষ কখনও কখনও ভাবে যে
এগুলো সে কন্ট্রোল করতে পারে।
মানুষ চেষ্টাও করে এ তিনটিকে
তার হাতের মধ্যে আনতে।
কাজ করে সে এটা নিয়ে
ভাবে, এসব আমার সামর্থ্যে।
আমরা দেখি
দৈত্যকুলে প্রহ্লাদ জন্মায়।
আবার কোনও এক গরীব ঘরে
বিশ্ববিখ্যাত বৈজ্ঞানিকের জন্ম হয়।
মহাভারতে ভীষ্মের ইচ্ছামৃত্যু
দেখা যায়।
কিন্তু সাধারণ ভাবে সত্যিই কি কারো
ইচ্ছামৃত্যু হয়?
যদিও কিছু কিছু মণীষির মৃত্যু শোনা যায়
যে তাঁদের ইচ্ছামৃত্যু হয়েছে।
সেসব নিয়ে প্রামাণ্য তেমন কিছু নেই
তাই সেসব নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।
তাই সাধারণ ভাবে ইচ্ছামৃত্যু
সম্ভব নয়।
মানুষের জীবনের দিন শেষ আসলে
তার মৃত্যু হয়।
তেমনই জন্ম মানুষের হাতে
সবটুকু আছে কি?
ছেলে বা মেয়ে কে জন্মাবে
তাও জানা যায় কি?
একই রকম ভাবে বিবাহও
সবটুকু মানুষের হাতে নেই।
অনেক সময়ে অনেকের পছন্দসই বিবাহ
ভেঙ্গে যায় কিছু সময় পরেই।
আবার পাত্র-পাত্রীর প্রথমে অপছন্দ হলেও
পরবর্তীকালে তাদের ভালবাসা গভীর হয়।
আগের জেনারেশনে বিয়ে হতো
বাবা-মা বা গুরুজনদের মতে।
এ জেনারেশনে ছেলেমেয়েদের মনে হয়
তারা নিজেরাই ঠিক করতে পারে তাদের জীবন সঙ্গীকে।
এটা কতটা ঠিক বা কতটা ভুল
সেটা সময়ই বলবে।
এ নিয়ে অনেক পরিবারে অশান্তি আছে
সেটাও হয়ত চলবে।
শেষে বলি
সেই প্রবাদ বাক্য –
জন্ম মৃত্যু বিয়ে
তিন বিধাতা নিয়ে।

