|| দূর্গা পুজো ||
Poetry

|| দূর্গা পুজো ||

Please Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita

Durga Pujo

একটি ছোট্ট ছেলে

           এসেছে মামার বাড়ীতে।

স্কুলের ছুটি এখন

         তাই মেতেছে মজাতে।

পুজো দালানে

        তখন তৈরী হচ্ছে দূর্গা ঠাকুর।

খড় দিয়ে কাঠামো বাঁধা দেখে সে ভাবে

      কি ভাবে করবে ওরা সুন্দর ঠাকুর?

এরপর দেখে

      কালো মাটি লেপচে খড়ের ওপরে।

তারপর সাদা রঙ

       আরও নানান রঙ দেয় তারপরে।

ক্রমে মাতৃপ্রতিমা দেখতে পায়

              সেই খড়ের মূর্তিতে।

মনটা আনন্দে ভরে ওঠে

              দূর্গা মূর্তি নির্মান দেখে।

এবারে আসে সেই

      বহু প্রতীক্ষিত দূর্গা পুজোর দিন।

পুকুর থেকে ঘট আনা,

       কলা বৌ প্রতিষ্ঠা, আরও কত কিছু।

ছেলেটি সব কাজেই সামিল হয়,

           জিজ্ঞাসু চোখ নিয়ে দেখে সব কিছু।

সময় পেলেই সে নানান প্রশ্ন করে

                 পুরোহিত মামাকে।

পুজোর নানান কাজগুলোর ব্যাখ্যায়

              ঘাড় নাড়াতে থাকে।

ছেলেটির পাঁঠা বলি দেখে

              মনটা খারাপ হয়ে যায়।

ছোট্ট একটা ছাগল ছানাকে

               সত্যিই কি মারার দরকার ছিল?

ওই ভাবে ওকে বেঁধে

            গলাটা কেটে ফেললো?

যদিও গলাটা কাটার সময়

         ও চোখটা বন্ধ করে ফেলেছিল।

মা দূর্গাকে সে মনে মনে প্রশ্ন করে,

         তুমি কেন এটা করতে দিলে।

ওরা সবাই মিলে

         ছাগল ছানাকে মেরে ফেললে।

সপ্তমীর পুজো শেষ হয়             

           আসে অষ্টমীর দিন।

সবার সাথে পুরোহিত মামার মন্ত্র শুনে

          মাকে অঞ্জলি দেয়।

তারপর সন্ধিপুজো

    একশো আটটা প্রদীপ জ্বালিয়ে পুজো হয়।

সে এক দারুন দৃশ্য-

       মা যেন জেগে উঠেছেন, এই মনে হয়।

নবমী পুজোর পরে আসে

           পুজোর শেষ দিন দশমী।

মা চলে যাবে এই চিন্তায়

      ছেলেটির মনটা দুঃখে ভারী হয়ে ওঠে।

দশমী পুজো শেষ হলে

        তিনটি বেল পাতায়,

সবাই লেখে-  

        শ্রীশ্রী দূর্গা মাতা সহায়।

পরে ওই বেল পাতাগুলো

          মায়ের পায়ে দেয়।

এবার বিসর্জনের ঢাক বাজে-

 ঠাকুর থাকবে কতক্ষণ, ঠাকুর যাবে বিসর্জন।

ছেলেটির মনে হয়, এত সুন্দর মূর্তি

             কেন হবে বিসর্জন?

অনেকগুলো বাঁশকে পাশাপাশি রেখে

   মায়ের প্রতিমা তার ওপরে বাঁধা হয়।

অনেকগুলো লোক সেই বাঁশ তুলে

        কাঁধে করে প্রতিমা নিয়ে যায়।

ওই লোকগুলোর মধ্যে একজন

          লক্ষ্মী মামা পাশের পাড়ার।

ছেলেটির বায়না লক্ষ্মী মামার কাছে-

    মায়ের মুকুটের চূড়ার ডাকের-সাজ চাই তার।

কথা মতো ডাকের সাজ

            পেয়ে তার খুব আনন্দ।

কিন্‌তু মনের মধ্যে ঘুরছে- ʼবাড়ী ফিরতে হবেʼ,

                        এই চিন্তায় সে নিরানন্দ।

LET’S KEEP IN TOUCH!

We’d love to keep you updated with our latest poetry and stories 😎

We don’t spam! Read our [link]privacy policy[/link] for more info.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *