গণেশজীর অবয়ব
Poetry

গণেশজীর অবয়ব

Audio File:

Please Visit & Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita

গণেশজীর দেহের অঙ্গ প্রত্যঙ্গগুলির বিভিন্ন তাৎপর্য্য আছে । সেইগুলিই বর্ণনা করার চেষ্টা করা হয়েছে এই কবিতায় ।

ওম্ গণেশায় নমঃ ।

ওম্ গণেশায় নমঃ ।

ওম্ গণেশায় নমঃ ।

গণেশজীর  দেহের

                   অঙ্গ প্রত্যঙ্গগুলি,

আছে তাদের বিশেষ মানে

               আছে বিশেষ গুণাবলী ।

শুরু করি গণেশজীর

                     বিশাল ভুঁড়িটি নিয়ে ।

ব্রহ্মান্ড যে দর্শন হয়

                     এটির মধ্যে দিয়ে ।

তিনি যে ভাল এবং খারাপ

                     সব কিছু খেয়ে ।

হজম করেন সবই

                     ওই ভুঁড়িটির মধ্যে দিয়ে ।

দুই দাঁত তাঁর প্রতীক হয়

                        ঠিক আর ভুলের ।

অন্যভাবে বলতে গেলে

                 হয় তারা আবেগ ও বাস্তবের ।

গণেশজীর মাথাটি বড়

                      যেমন হয় হাতির ।

বড় চিন্তা করেন মনটি দিয়ে

                      উর্দ্ধে উঠে সংকীর্ণতার ।

গণেশজীর ছোট্ট চোখ

                       বেশী মনোযোগী দেখতে ।

ভবিষতটা ঠিক করতে

                     বর্তমানের সবকিছু বুঝে চলতে ।

বড় শুঁড়ের প্রতীক

                      হলো গ্রহনযোগ্যতার ।

সব পরিস্থিতিকে মানিয়ে নিয়ে

                    কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলা করার ।

ছোটো মুখের প্রতীক হলো

                        কম কথা বলার ।

কথা কম বলায়

               শুরু হয়না অনেক ঝামেলার।

বড় কানের প্রতীক হলো

                সবকিছু মন দিয়ে শোনার ।

অপ্রয়োজনীয় ব্যাপার বাদ দিয়ে

               এগিয়ে যেতে পথে সার্থকতার ।

গণেশজীর চারটি হাতে

                     চলে বিভিন্ন কাজ ।

এবারে বলি এক এক করে

                    সে সব কথা আজ।

একটি হাতে কুড়ুল আছে

           যা পুরোনো ভাল মন্দ ছেড়ে,

বাঁচতে শেখায় যা আছে

            বর্তমানের সবকিছু ঘিরে ।

আরেকটি হাতে পদ্ম আছে

      যা মনকে সদা জাগ্রত রাখে ।

ওই সদা জাগ্রত মন নিয়ে মানুষ

       সার্থকতার পখে চলতে থাকে ।

অন্য একটি হাতে গণেশজী

           আশীর্বাদ করেন বিশ্ববাসীকে ।

তাঁর আশীর্বাদে জগতবাসীর

           মনস্কামনা পূর্ণ হয় কার্যসিদ্ধিতে ।

চতুর্থ হাতটিতে থাকে সুতো

                 যা বস্তুবাদ ছেড়ে,

মানুষ মোক্ষলাভের পথে

                  এগোতে পারে ।

গণেশজীর একটি পা থাকে

                   মাটির দিকে ।

অর্থাৎ যতই ওপরে যাও না কেন

             মূল ভিত্তিকে যেন মনে থাকে ।

তাঁর বাহন ইঁদুর

           যেমন সবকিছু দেয় কেটে ।

এর প্রতীক সব অসৎ ইচ্ছা

              ধ্বংস করে দেয় মানুষের জীবন থেকে।

LET’S KEEP IN TOUCH!

We’d love to keep you updated with our latest poetry and stories 😎

We don’t spam! Read our [link]privacy policy[/link] for more info.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *