|| খোঁজা ||
Poetry

|| খোঁজা ||

Please Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita

Khonja

খুঁজছি তো,

        কিন্‌তু পাচ্ছি না।

কি খুঁজছি?,

        তা তো বলতে পারব না।

আসলে আমি বোধহয়

             খুঁজছি নিজেকে।

সেই এত ʼআমিʼ-র মধ্যে

                     কোন আমি-কে চাই,

সেটাই তো

                 বলতে পারছি না।

ব্যাপারটা একটু পরিস্কার করে

                                 খুলে বলি।

আমি যেটা খোঁজার জন্য

                           নিষ-পিষ করছি,

সেটাই কোথায় খপ করে

                       ধরতে পারছি?

আমি বরং মনের

                       ছবিগুলো দেখাই।

আসলে খোঁজার স্পীড

                        এত বেশী,

মন দাঁড়াচ্ছেই না

                       কোনোও জায়গায়।

যা দেখাচ্ছে সেগুলো

                       আমার পছন্দ নয়।

তাই একটা ছবি

                        দেখিয়েই ফুরুত।

আবার অনেক দূরের একটা ছবি

                    দেখিয়ে আবার ফুরুত।

আপনারা কয়েকটা ছবি

                 দেখলেই বুঝতে পারবেন।

কি হবে আমার

                 প্রবলেমের সলিউসন।

এখন যেটা দেখছি সেটা

            আমি তখন প্রাইমারীতে পড়ি।

বাবাকে হেড-মাস্টারবাবু

                          স্কুলে ডেকেছেন।

বাবা ওনার ঘরের বাইরে

                           অপেক্ষা করছেন।

দেখা হতে উনি বললেন,

              ʼআপনার ছেলের প্রোমোশন নিয়ে কথা বলতে চাইʼ।

ʼওর রেসপন্স ও পরীক্ষার খাতা দেখে মনে হয়েছে যেʼ

  ʼওকে আমরা ক্লাস টু থেকে ক্লাস ফোরে প্রোমোট করতে চাইʼ।

বাবা এটাতে রাজী হলেন না।

            বল্লেন, ʼএতে ভীত ঠিক থাকবে নাʼ,

ʼওকে ক্লাস থ্রীতেই প্রোমোট করুনʼ।

    আমার ডবল প্রোমোশন পাওয়া হলো না।

এখন আবার সিধে নেপাল।

  আমরা সবাই মিলে পশুপতি টেম্পলে

                             যাব বলে বেরিয়েছি।

রাস্তায় কি এক কারণে

                       আমি দলছুট হয়ে গেছি।

পশুপতি টেম্পলে ঘুড়লাম

          সবাইকে ছেড়ে একা একা।

আরও কয়েকটা জায়গায় গেলাম

                    সেই একা একা।

হোটেলে ফিরে

                 আবার সকলের সাথে দেখা।

এ ছবিটা অনূপ জালোটার

                     গানের প্রোগ্রাম নজরুল মঞ্চতে।

বৌ, ছেলেমেয়েদের সবার সাথে

                                গেছি গান শুনতে।

অসাধারণ সেই সব  ভজনগুলো

                              একের পর এক হচ্ছে।

ভাললাগার শেষ সীমায় পৌঁছে

                             সময়টা পার হচ্ছে।

এখন মেয়েরা তো কেউই থাকে না এখানে

           দুজনেই থাকে আমেরিকাতে।

ওদের সেই ছবি দেখে মনে পড়ছে ওদের কথা

    আজ রাত্রেই ভিডিও কলে দেখতে হবে ওদেরকে।

হঠাৎ এসে গেল সেই বিষাদময় ছবি

                                মায়ের শেষ যাত্রা।

মা নিশ্চিন্তভাবে শুয়ে আছে, সিঁথিতে চওড়া করে সিঁদুর

                                 আর পায়ে লাল আলতা।

আমি অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে,

                                  ভাবছি মায়ের নানান কথা।

এ ছবি আমেরিকায় হলিউডে

               ওয়ার্নার ব্রাদার্সের স্টুডিওতে ঘোরা।

হ্যারি পটার্সের শুটিংয়ের বিভিন্ন

                    জায়গাগুলোতে যাওয়া।

মেয়ের সেই ঝাঁটার পিঠে চেপে

                    আকাশে ওড়ার ভিডিও শুট করা।

আবার ছোটোবেলায়

                 সেই চোরের কান্ড বাড়ীতে।

আওযাজ শুনে আমরা

                       চুপিচুপি এসে দেখি,

 দরজার পাশ দিয়ে সে

                      দরজা খুলতে চেষ্টা করছে।

এটা করতে সে

                    তার খানিকটা হাত ঢুকিয়েছে।

আমার সাহসী মা যখন

                   লাঠি দিয়ে মারলো তার হাতে।

চোর  ʼওহ্ʼ বলে পালায়

                          এই আঘাতে।

বাস্তব ছবি হোলো

              আমাকে লাঞ্চ খেতে ডাকছে।

বাধ্য হয়ে তাই মনের ছবি দেখা

                     বন্ধ করতেই হচ্ছে।

LET’S KEEP IN TOUCH!

We’d love to keep you updated with our latest poetry and stories 😎

We don’t spam! Read our [link]privacy policy[/link] for more info.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *