
|| উত্তমকুমার – এ পজিটিভ থিঙ্কার ||
Please Visit & Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita
Uttam Kumar – A Positive Thinker
উত্তমকুমারের প্রযোজনায়
শুটিং চলছে হারানো সুর ফিল্মের।
পরিচালক অজয় কর ও প্রধান ভূমিকায়
আছেন সুচিত্রা সেন ও উত্তমকুমার।
সময়টা উনিশশো সাতান্ন সাল
কলকাতা তখন এখনকার শহরতলীর মতো।
স্টুডিও পাড়া টালিগন্জ
প্রায় এক বর্দ্ধিষ্ণু গ্রামের মতো।
একটাই সরকারী বাস ছʼনম্বর চলতো
তাও সন্ধ্যের পরে সেটাও উধাও হতো।
তাই টেকনিশিয়ানদের পছন্দ ছিল
সন্ধ্যের মধ্যে কাজ শেষ করতে।
নাহলে তাদের দুর্দশা হতো
বাড়ী ফেরার গাড়ী পেতে।
সেদিন একটি মূল্যবান দৃশ্যের শুটিং বাকী
গানের সঙ্গে উত্তম-সুচিত্রার শট নিতে হবে।
পরিচালকের ফরমায়েস
দুটি ভাল রজনীগন্ধার মালা যোগাড় করতে হবে।
মালা আনা হয়নি আগে
তাই তখনই মালার ব্যবস্থা করতে হবে।
ওই সময়ে টালিগন্জে পাওয়া যাবে না
তাই একটি ছেলে মোটোর বাইকে রওনা দিল।
যাবার আগে ছেলেটিকে উত্তমকুমার ডেকে
ফিসফিসিয়ে কিছু একটা বললো।
মালা এলো, চিত্রায়িত হলো গীতা দত্তের
সেই বিখ্যাত গান, ʼতুমি যে আমার..ʼ।
সবাই খুব খুশি শটটা নিয়ে
অসাধারণ এক রোমান্টিক সিন ছবির।
পরদিন উত্তমকুমার অজয় করকে বল্লেন,
ঐ মালা দুটি ছিল মৃতদেহের গলায়।
ছেলেটিকে আমি বলেছিলাম
মালা না পেলে যাবি কেওড়াতলায়।
মৃতদেহের গালার মালা আনবি
ভাল দেখে খুঁজে ।
ওতো অন্য কোথাও তো ও পায়নি
তাই শ্মশান থেকেই এনেছে।
সুচিত্রা যেন না জানতে পারে
সেটা আগে থেকেই বলা আছে।
শুনে অজয় করের চক্ষু চড়কগাছ, সে ভাবতেই পারেনা
উত্তমকুমার জেনে কিভাবে ঐ মালা পরলো।
ʼশটটাতো নিতে হবেʼ, উত্তমকুমার
ভুবন ভোলালো হাসি ফুটিয়ে বললো।

