|| অমরনাথ যাত্রা ||
Please Visit & Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita
Amarnath Jatra
অমরনাথের যাত্রা শুরু হয়
পহেলগাম থেকে।
সেখান থেকে চন্দনবাড়ী পৌঁছাই
পাকদন্ডি দিয়ে হেঁটে হেঁটে।
চন্দনবাড়ীতে সবাই থাকে
রাতটুকু কাটাতে।
আবার হাঁটা, আবার হাঁটা,
পৌঁছোই শেষনাগেতে।
সেদিন পূর্ণিমা, শেষনাগে পৌঁছাই
শেষনাগ-লেকের সামনে যাই।
প্রায়ান্ধকারে শেষনাগ-লেকে পরিবেশকে
মোহময় করেছে চাঁদের আলোর রোশনাই।
শেষনাগ লেকের নীল জলে
সাদা সাদা বরফ ভাসছে।
সাদা বরফগুলো প্রতিফলনে নীল জলে
চুমকির মতো অসাধারণ লাগছে।
এরপর শুতে চলে গেছি
প্রকৃতির ওই মোহময়তা মেখে।
সকালে উঠে শেষ দিনের যাত্রা শুরু হয়
শেষনাগ থেকে পঞ্চতরণীর পথে।
একটু হাঁটার পরে দেখি
সামনে বিশাল পাহাড়।
পাহাড়ের নাম মহাগুনাস,
পাহাড়টি আছে বরফের চাদরে ঢেকে।
তার ওপর দিয়ে রাস্তা চলে গেছে
পঞ্চতরণীর দিকে।
সূর্যের আলোর প্রতিফলনে
এত চকচক করছে,
যে কালো সানগ্লাসেও
চোখ ঝলসে যাচ্ছে।
হঠাৎ তুষার বৃষ্টি শুরু হয়, তুলোর মতো বরফ
সর্বাঙ্গে পরে সব সাদা হয়ে যাচ্ছে।
হাতে লাঠি থাকা সত্তেও
পা পিছলে যাচ্ছে।
মিনিট দশেক এইভাবে কাটার পর
শেষ হয় কষ্টকর যাত্রা বৃষ্টিতে।
আরও কিছুক্ষন হাঁটার পরে
আমরা পৌঁছাই পঞ্চতরণীতে।
একটু রেস্ট নিয়ে, আরেকটু হেঁটে
পৌঁছাই অমনাথ গুহার সামনে।
গুহার ভেতরে ঢুকে দেখি
অমরনাথদেবের বিশাল বরফের মূর্তি।
পাশে পার্বতী ও গনেশের
আরও দুটি বরফের মূর্তি।
মূর্তির সামনে জুতো খুলে
সবাই পুজো দেই।
সেখানে খালি পায়ে
বেশীক্ষন দাঁড়ানো যায় না।
কারণ পায়ের নিচে বরফে পা জমে
পায়ের নিচে কোনোও সেন্স পাচ্ছি না।
অনেকক্ষন অপলক দৃষ্টিতে
অমরনাখজীকে দর্শন করি।
তারপর আস্তে আস্তে
সবাইমিলে বেরিয়ে পরি।
জয় অমরনাথজী।