।। ভয় ।।
Please Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita
Bhoy
মানব মনে আবেগে সুখ দুঃখের
আরেক দোসর ভয়।
এটি বেড়ে গেলে বুদ্ধিভ্রংশে
নানান বিপদ হয়।
ভয়ের দোসর দুঃখ
অতি ভয়ে এসে পরে।
রাতদিন সেই চিন্তায়
কুঁরে কুঁরে মন মরে।
ভয়ের উদ্রেগ দেখি তার চোখে
তার নানা আচরণে।
এই ভয় জন্ম নেয়
বিভিন্ন কারণে।
কোনো কিছু হারাবার ভয়
আসে দুঃচিন্তায়।
অপরাধী ভয় পায় তার অপরাধ
ধরা পড়বে এই চিন্তায়।
আবার অনেকগুলো ভয়ের
কারন একটি ভয়ের উৎস।
সেই ভয়গুলো তাড়া করলে মনে
মানুষটি হয়ে পড়ে অপ্রকৃতিস্থ।
খ্যাপা কুকুরে কামড়ালে
জলাতঙ্ক হয়।
তখন সে জল দেখলেই
ভয় পায়।
মনোরোগ বিশেষজ্ঞেরা
খোঁজেন ভয়ের উৎস।
কথাবার্তা বলে বেরিয়ে পড়ে
আসল রহস্য।
উৎস থেকে বেড়িয়ে পরে
কোনোও পুরোনো ঘটনা।
পুনরাবৃত্তি করতে তিনি
সৃস্টি করেন নাটক রচনা।
এই নাটকে দেখানো হয়
কোথায় সে যুক্ত।
নাটকের বিশ্লেষনে
সে হয় ভয়টি থেকে হয় মুক্ত।
এসব ঘটনা আমাদের
সকলেই জানা।
কিন্তু ভয় থেকে
নিষ্কৃতির পথ আছে নানা।
ভয়কে ছেড়ে নিজের পথে এগোনো
একটি উপায়।
আরেকটিতে ভয়ের সামনে এগিয়ে
তাকে করো জয়।
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
দেখিয়েছেন ভয় মুক্তির পথ।
ভয় থেকে তুমি অভয়ের মাঝে
আমার নতুন জীবন দাও।
সুখ, দুঃখ, স্বার্থ, সংশয় ছেড়ে
থাকি সত্য, শান্তি মঙ্গলময় কাজে।
দীনতা ছেড়ে যেন মুক্তি খুঁজি
অমূল্য অক্ষয় ধনের মাঝে।
রবীঠাকুরের সেই ʼতুমিʼ
আমাদের প্রভু বা ঈশ্বর।
আমাদের একমাত্র অবলম্বন
তিনি অবিনশ্বর।