।। চকচকে ছবি ।।
Poetry

।। চকচকে ছবি ।।

Please Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita

Chakchake Chobi

ছবি আঁকতে বসলাম। কি ছবি?

আমার দেখা পুরোনো ছবি।

পুরোনো পিকচার ফ্রেমের মতো

ধুলো পরে আছে সেই সব অতীতে।

আমার দেখা ছবি।

আমার সেই সব পুরোনো ছবি।

ওটা কি সেরা ছবি? তা বলা যায় না।
অতীতে কোদাল চালিয়ে,

তাকে ধুয়ে মুছে পরিস্কার করতে হবে।

এটাই মনের বায়না।

প্রথমে ট্রেন, তারপর গাড়ী।

যাচ্ছি হায়দারাবাদ থেকে পুরী।

পুরী  পৌঁছোলো বিকেল বিকেলে।

নেমে দেখি সামনে মহাসমুদ্র।

আামার সঙ্গে আমার বোনেরা।

সঙ্গে নাটকের কলাকুশলীরা।

নামকরা নাট্যদলের সঙ্গী আমি।

শো ছিল হায়দারাবাদে,

সেখান থেকে ফিরছি বাড়ী।

বাড়ীর পথে পুরী।

সেদিন আবার দোল।

রাস্তায় এখানে সেখানে রঙ পরে।
সামনে বিরাট সমুদ্রের হিল্লোল।

কেউ কেউ সোজা ছুট দিলো,

সমুদ্রে পা ভেজাতে।।

কেউ কেউ স্নানের সামগ্রী নিয়ে চললো,

সমুদ্রে স্নান করতে।

আমরা ভাইবোনেরা ঠিক করলাম,

স্নান করবো না।

আমাদের একটাই সুটকেশ।

তার চাবি ভেতরে রেখে, বন্ধ টেপা তালা।

তাই আমাদের জামা কাপড় না পাওয়ার কি জ্বালা।

সমুদ্রে পা ভিজিয়ে একটু আধটু খেলা।

এই হলো আমাদের সমুদ্র- স্নান ঐ বিকেলবেলা।

তারপর ছবি। বিভিন্ন রকম, বিভিন্ন কায়দায়।.

প্যাকেটে খাবার এলো।

সুকনো বালির ওপরে বসে তা সাঙ্গও হোলো।

ততক্ষণে সূর্য্যদেব বাড়ী যাবার পথে।

অসাধারণ সে ছবি।

গোধূলী আলোয় আকাশটা মোড়া।

জলের ঢেউগুলোতে প্রতিফলনে রোশনাই।

মনের ক্যামেরাতে সে ছবির জবাব নাই।

আমাদের পোট্রেটগুলো হারিয়ে গেছে।

কিন্‌তু মনের ক্যামেরার ছবিটা জ্বলজ্বল করছে।

এবার ফেরার পালা।

একে একে সবাই গাড়ীতে ফেরে।

তারপর আমরা চললাম পুরী ছেড়ে।

সেই গাড়ী, আবার ট্রেন।

ট্রেনে ঘুমিয়ে, উঠে দেখি হাওড়া স্টেশন।

গাড়ী করে বাড়ী একটু পরেই।

এ ছবিটা এইটুকুই।

একটু আধটু ভেঙ্গে গেছে কোদালে।

তা হোক, এটাতো মনের মণিকোঠায় রাখা।

চকচক করছে এটা, অন্য স্মৃতির মধ্যে ঢাকা।

LET’S KEEP IN TOUCH!

We’d love to keep you updated with our latest poetry and stories 😎

We don’t spam! Read our [link]privacy policy[/link] for more info.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *